• Promoting Childhood Education for Sustainable and Transformational Achievements
  • English
Follow Us At:

রেহেনা খাতুন

রেহেনা খাতুন, বয়স ৩৫। যদিও অর্থসম্পদ বা নিজস্ব জমিজমা নেই তারপরও  স্বামী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছিলেন। রেহেনা বেগম এর স্বামীর নিজস্ব কোন বসত বা কৃষিজমি নেই। তারা দূঃসম্পর্কের এক আত্মীয়ের জমিতে ঘর তুলে থাকেন। রেহেনা’র স্বামী টুটুল মিয়া পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। তিনি সরকারী খাস জমি চাষ করতেন। তাদের গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরকারী খাস কৃষি জমি আছে, তিনি সেখানে কিছু জমি বন্দোবস্ত নিয়ে চাষ করতেন। গত কয়েকমাস আগে হঠাৎ করে টুটুল মিয়া মারা যান। এরপর রেহেনা বেগম দুই ছেলেকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। তার বড় ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে পড়ে আর ছোট ছেলেটির বয়স তিন বছর। স্বামীই ছিলেন রেহেনা বেগমের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। রেহেনা বেগম-র স্বামী ভূমিহীন কৃষক হলেও ছেলের লেখাপড়ার বিষয়ে খুবই সচেতন ছিলেন, ছেলের লেখাপড়া যেনো কোন বিঘ্ন না ঘটে তাই তিনি কখনোই ছেলেকে কৃষিসহ কোন ধরনের কাজ করতে দেননি।

রেহেনা বেগম এর স্বামী মারা যাওয়ার সময় কোন ধরনের সঞ্চয় রেখে যাননি যা বিনিয়োগ করে তারা কোন ধরনের আয়ের ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া তার ছেলেটিও কখনো কৃষি কাজ করেনি তাই তাদের পক্ষে আর কৃষিকাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার কারনে তাদের সংসারে এখন যে কোন একটি উপর্জনমূলক কাজের প্রয়োজন। তার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে প্রচেষ্টার উপকারভোগী করা হয়েছে এবং ছাগল পালনের জন্য ১৯,০০০/= টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি এই টাকা দিয়ে দুইটি ছাগল কিনেছেন ও ছাগল রাখার জন্য একটি ঘর তৈরি করেছেন।