দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী এবং সম্ভাবনাময় শিশুদের শিক্ষা সুবিধা প্রদান এবং তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই সেচ্ছাসেবী সংগঠক কর্তৃক পরিচালিত প্রচেষ্টার যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। দেশের হাজারো প্রান্তিক মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনয়ন তথা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সুবিধা প্রদান এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই প্রচেষ্টার কর্মকান্ড ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে দেশের সর্বত্র। প্রচেষ্টার অন্যতম লক্ষ্য দেশের বঞ্চিত শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার এবং সমাজের সুষম উন্নয়ন। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা প্রধান যে দুটি পথক্রম অনুসরণ করে তা হলোঃ [১] শিক্ষার্থীদের আর্থিক সুবিধা প্রদান (বেতন, যানবাহন ব্যয়, স্কুল/কলেজের পোশাক ব্যয় ইত্যাদি); [২] ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অর্জনে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান (আলোচনা, গঠনমূলক নির্দেশনা, শিক্ষার্থী সম্পর্কে তথ্য গ্রহন এবং নিয়মিত যোগাযোগ) আমরা দেশের সম্ভাবনাময় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করি এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একজন করে পরামর্শক নিয়োগ করি। পরামর্শক শিক্ষার্থীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি তাকে শিক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। অশিক্ষা, অজ্ঞতা, এবং বেকারত্বের অভিশাপ মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে একটি নতুন প্রজন্মের আশা নিয়েই প্রচেষ্টা তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। ২০১৭ সালে এসে প্রচেষ্টা তার কার্যক্রমের ব্যপ্তি কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করে। [ক] দরিদ্র ও অতিদরিদ্র পরিবার গুলোকে তাদের দরিদ্র সীমার উপরে উঠিয়ে আনার জন্য আয়মুলক কার্যক্রমে সহায়তা। এই চেষ্টার অংশ হিসাবে ক্যালরি গ্রহণ ও মাসিক আয়ের উপর ভিত্ত্বী করে দরিদ্র/ অতিদরিদ্র পরিবার নির্বাচন করে আয়মুলক কাজে যুক্ত করা হবে। নির্বাচনের পর ঐ পুরুষ/ নারী এর কি ধরনের কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে, কি ধরনের কাজ করতে আগ্রহী সেগুলো বোঝার বা জানার চেষ্টা করা হবে এবং সে অনুযায়ি তাকে সহায়তা করা হবে। সেটা হতে পারে ছোট ব্যবসার জন্য পুঁজি দিয়ে সহায়তা এবং পাশাপাশি সঠিক… Read More
To create an educated and skilled/capable generation in Bangladesh to eradicate poverty from society and family.
বাংলাদেশে প্রাথমিক, জুনিয়র, এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ঝরে পরা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অত্যধিক। যেসব জেলায় শিক্ষার হার সর্বাধিক সেসব স্থানেও ৬-১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ঝরে পরার হার ১৫%। বাংলাদেশে ঝরে পরা ৪০ লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে যাদের বয়স ৬-১০ তাদের দুই লক্ষ-ই কোনদিন স্কুলে যায়নি। এটি থেকে ধারণা করা যায় বাংলাদেশে ৬-১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন কখনো স্কুলে যায়নি। এর কারন হিসেবে বলা যায় যে এসব শিশুরা কখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি, অথবা ভর্তি হবার পরে স্কুলে যায়নি অথবা এই বয়সসীমার (৬-১০) পরে স্কুলে ভর্তি হয়েছে (ইউনিসেফ, ২০১৫)। ২০১৫ সাথে জেএসসি এবং জেডিসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ২২,৭২,২৮৮ জন। এদের মধ্যে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২০,৮২,০০০ জন এবং অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১,৭৪.২০৭ জন। এছাড়াও আর এক লক্ষ শিক্ষার্থী পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করলেও মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। যেকারনে ২০১৫ সালে শুধুমাত্র জেএসসি এবং জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি পাশের আগেই ঝরে পরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাড়ায় ২,৭৫,০০০ জন। ইউনিসেফ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গ্রাম এলাকায় ঝরে পরা শিক্ষার্থীর সংখ্যা শহর এলাকার তুলনায় অনেক বেশি এবং সংখ্যার হিসেবে এর অনুপাত ১৬:১১। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে গ্রামের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। একই বছরে (২০১৫), মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করা ১৬,৯৫,৪৬৭ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪,৫২,৬০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে যারা পাশ করে তাদের ১৩,০১০,৯৯ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য কলেজে ভর্তি হয়। এটি প্রমাণ করে এসএসসি পূর্ব… Read More
Dolore mque laudantium, totam rem aperiam, eaque ipsa quae ab illo inventore veritatis et quasi architecto beatae vitae dicta sunt explicabo. Nemo enim ipsam voluptatem quia voluptas sit aspernatur inventore veritatis et quasi.
Donate Now