দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান ইব্রাহিম। তিন ভাই-বোনের মধ্যে মেজো। বাবা কৃষি দিনমজুর, মা গৃহিনী। ইব্রাহিমের বাবার ৩ শতক বসত ভিটা এবং ৩৩ শতক কৃষি জমি। কৃষি জমিটা বর্তমানে ৫০ হাজার টাকায় বন্ধক দেওয়া আছে। ইব্রাহিমের বাবার একার আয়ে তাদের তিনভাই-বোনের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চলে।
ইব্রাহিম ছোট থেকেই লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী। সে বর্তমানে যশোর সিটি কলেজে অর্থনীতি বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়ছে। তার পূর্ববর্তী পরীক্ষা গুলোর ফলাফল হচ্ছে- HSC: 3.83, SSC: 3.59, JSC: 4.22, PSC: 4.17
সে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত বাবার কাছ থেকে লেখাপড়ার খরচ নিয়েছে। এরপর মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত সে দিনমজুরের কাজ করে তার নিজের পড়ালেখার খরচ যোগাড় করেছে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পর থেকে টিউশনি করে নিজের খরচ যোগাড় করছে। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর তার টিউশনি বন্ধ হয়ে গেছে।
সে ছাত্র হিসেবে মাঝারী মানের হলেও লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহ, পরিবারের আর্থিক দৈনতা, নিজের লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য দিনমজুরি টিউশনি করা, কম্পিউটার দক্ষতা ইত্যাদি বিষয় গুলো বিবেচনা করে তাকে প্রচেষ্টার উপকারভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে ছাগল-পালনের জন্য ১৯,০০০/= টাকা দেয়া হয়েছে। সে এই টাকা দিয়ে দুইটি ছাগল কিনে তার ব্যবসা শুরু করেছে।