বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার ভবিষ্যৎ পৃথিবী পরিচালনা করার সক্ষমতা রয়েছে। মেধাবী এবং সৃজনশীল নাগরিকদের সাথে নিয়ে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী/ সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু দরিদ্র এবং অতি-দরিদ্র জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম পিছিয়ে থাকা দেশ। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও আমরা উন্নয়নশীল বা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশে ৮৫% দরিদ্র জনগণ ১৮০৫ বা তার কম ক্যালরি গ্রহণ করে এবং ৭৫% দরিদ্র জনগণ ১৬০০ বা তার কম ক্যালরি গ্রহণ করে। এই অতি দরিদ্র জনগণের বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা যেমনঃ খাদ্য, বাসস্থান, পুষ্টি, চিকিৎসা সুবিধা, বিশুদ্ধ পানি, চাকুরি ইত্যাদি পায় না। education (Battling Extreme Poverty in Bangladesh Part 1: The Measurement Problem- ASIA & PACIFIC by Nayma Qayum, July 18, 2013). এই অতি দারিদ্রতা আমাদের পুরো সমাজ কাঠামোর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে এবং এটার কারণে সেই সকল জনগণের সচেতনতা কম এবং তারা যে তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে এটা ভাবতে পারে না। কিছু উদ্যোগ তাদের পুরো জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে এবং দেশের উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রচেষ্টা সেই পরিবারদের কাছে পোঁছে তাদের কোনো আয়মূলক কাজে যুক্ত করার কাজ করছে। আয়মূলক কাজের সহায়তা অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাও করে থাকলেও আমাদের কাজের পদ্ধতি ভিন্ন। যেখানে অন্যান্য সংস্থা শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েই কাজ বন্ধ করে সেয় সেখানে আমরা তাদের জন্য আরো বেশি কিছু করতে চাই এবং করছি। প্রথমে, আমরা দরিদ্র এবং অতি দরিদ্র পরিবার চিহ্নিত করি যারা তাদের জীবন পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক। তারপরে আমরা তাদের সাথে আলাপ করে একটি ব্যবসার পরিকল্পনা প্রণয়ন করি। পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় তার পূর্ব অভিজ্ঞতা, আগ্রহ, দক্ষতা বিবেচনায় রাখা হয়। এরপর ব্যবসা শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করি। এরপর নিয়মিত খোজ-খবর রাখা হয় এবং তাদের সাথে আলোচনা/পরামর্শ অব্যাহত রাখি যে কিভাবে তারা এই ব্যবসা বড় করতে পারবে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবসায় প্রবেশ করতে পারবে। এর মাধ্যমে আমরাও বুঝতে পারি যে, ভবিষ্যতে তার শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক কি ধরনের সহায়তা প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। সমাজের উন্নয়ন ছাড়া আমাদের নিজেদের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে না। তাই আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত।